ইতিহাস
রাজবাড়ী জেলার অন্তর্গত রাজবাড়ী পৌরসভাধীন সজ্জনকান্দা মৌজায় ঐতিহ্যবাহী শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে ছায়া-সুনিবির ও মনোরম পরিবেশে বাংলাদেশ রেলওয়ের সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগ হলে রাজবাড়ীতে ব্যাপক হারে বিহারী উদ্বাস্তদের আগমন ঘটে। যারা অধিকাংশই ছিলেন রেলওয়ে শ্রমিক। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠির (রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী) সন্তানদের লেখাপড়া করার জন্য তৎকালীন রেলওয়ে সাব-ডিভিশন অফিসার জনাব আসজাদ আলী উর্দু ভাষার একটি মাইনর স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এক সময় তিনি রেলওয়ে বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। তখন তার নাম অনুসারে স্কুলটির নাম রাখা হয়েছিল “আসজাদ উর্দু এম.ই স্কাুল”। স্বাধীনতার পরবর্তী স্কুলটি স্থবির হয়ে পড়লে তৎকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত গভর্নর জনাব ডাঃ এস.এ মালেক এর পৃষ্ঠপোষকতায় জনাব এম.এ মোমেন (বাচ্চু মাষ্টার), কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গের উদ্যোগে পূর্ব নাম “আসজাদ উর্দু এম.ই স্কাুল” নামটি পরিবর্তন করে ১৫/০২/১৯৭২ সালে “বঙ্গবন্ধু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়” নামে নামকরণ করা হয়।
যেহেতু বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশ সাড়ে সাত কোটি মানুষের বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবদ্দশায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাঁর নামে নামকরণে রাজি না হওয়ায় পরবর্তিতে বঙ্গবন্ধুর পরামর্শে ও তৎকালীন জাতীয় সংসদ সদস্য ডাঃ এস.এ মালেক এর প্রস্তাবে ১৭/০৪/১৯৭২ইং তারিখে বঙ্গবন্ধু উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে “শেরে বাংলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়” নামকরণ করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর বিদ্যালয়টি ২২/০৪/১৯৭২ সালে শেরে উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় নামে ১ম স্বীকৃতি লাভ করে এবং ০১/০৯/১৯৮৪ ইং তারিখে বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হয়। বিদ্যালয়টি ১.২০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়টির নামে অসংলগ্ন আরও ০.৫০ একর জমি আছে। তৃতীয় ডিজিটাল দিবস ২০১৯ খ্রিঃ এর মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পরিচালনায় শেরে বাংলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি পায় ও ২০২৪ খ্রি.রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয় এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ২০২২,২০২৩ ও ২০২৪ খ্রি.পর পর তিনবার রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচিত হন। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে শিক্ষর্থী সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু আছে। বিদ্যালয়ে একটি সু-সজ্জিত খেলার মাঠ, মনোরম পাঠাগার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, উন্নত সৌচাগারসহ সুপেয় পানিয় জলের সু-ব্যবস্থা আছে। বিদ্যালয়ে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল বরাবরই সন্তোষজনক। বর্তমানা সরকারের শিক্ষানীতির আলোকে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হচ্ছে এবং বিদ্যালয়টির সুনাম উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।